নূহ আ:এর নৌকা ও বিশ্ব স্বীকৃতি ।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
নূহ আ:এর কিশতী /নৌকা ও বিশ্ব স্বীকৃতি (পবিত্র কুরআন কি বলে?)।
হযরত নূহ (আঃ)
সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ২৮টি সূরায় ৮১টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। পিতা আদম (আঃ) এর মৃত্যুর
বহু বছর পর লোকের আবার শিরক কুফরি করতে শুরু করে আর তাদের সংশোধন করতে মহান আল্লাহ্
তাদের উপর নবী নূহ (আঃ) কে পাঠান । তিনি ইরাকে বসবাস করতেন ।
আর এটা বিশ্ব স্বীকৃত
যে, পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব সভ্যতা গড়ে উঠে (খ্রিষ্টপূর্ব ৫,০০০
অব্দ) মেসোপটেমীয়তে আর মেসোপটেমীয় সভ্যতা বর্তমানে
ইরাকে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে বহু নবী রাসূল এসেছিলেন । আসার কারন হলো মহান আল্লাহ্
এই স্থান থেকে মানব ইতিহাস সূচনা করেছিল ।
মহান আল্লাহ্ বলেন - আমি
তাকে (নূহ নবী) ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম। এবং তার বংশধরদেরকেই
আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম। আমি তা পরবর্তীদের তা স্মরণে রেখেছি
(৩৭ : ৭৫-৭৭) ।
মূলত খ্রিষ্টপূর্ব ৫,০০০
অব্দ থেকে ৪,০০০ অব্দ অবধি সভ্যতা অবস্থান ছিল মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক অর্থাৎ ইরাক
,সিরিয়া ,মিশর এর আশেপাশে । এ কথা পাশ্চাত্য প্রত্নতাত্ত্বিকগণের দ্বারা সর্ব স্বীকৃত
। এখান থেকে চীন , সিন্ধু ,ফিনিশীয় (ভূমধ্যসাগর এলাকা) , পারস্য , হিব্রু , গ্রিক
, রোমান , নারা (জাপান) ইত্যাদি সভ্যতা ছড়িয়ে যায় । তা থেকে আমাদের এই আধুনিক সভ্যতা
।
নবী নূহ (আঃ) এর কাওম
শিরক , পাপাচার করতে থাকলে তিনি তাদের বিরামহীন ভাবে দাওয়াত দিতে থাকেন এতে মাত্র নারী-পুরুষ
মিলে প্রায় ৮০ জন দাওয়াত গ্রহন করেছিল । তাই মহান আল্লাহ্ বাকীদের বন্যার মাধ্যমে ধ্বংস
করে দিতে চাইলেন । আদেশক্রমে নবী নূহ (আঃ) কিশতী তৈরী করলেন যা দ্বারা প্রাণী ও ঈমানদার
লোকেরা বেঁচে গেল ।
সমগ্র পৃথিবীর প্রায়
২৬০ অঞ্চল এর জাতি বা উপজাতির সঙ্গে হযরত নুহ (আ.)-এর উপরোক্ত
কাহিনীর সঙ্গে মিলে যায় এমন কিংবদন্তি, যা গ্রিক, মিসর, ভারত ও চীনের প্রাচীন সাহিত্যে
পাওয়া যায়। বার্মা, মালয়েশিয়া, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের
বিভিন্ন অঞ্চলেও এ ধরনের কিংবদন্তি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। এর আলোকে পরিষ্কার বোঝা
যায়, এ কাহিনী এমন এক যুগের, যখন গোটা মানবগোষ্ঠী কোনো একটি ভূখণ্ডেই বসবাস করত। বলা
হয়, নূহ (আঃ) এর নৌকা ছিল পৃথিবীর প্রথম জলযান ।
আফ্রিকার মাশাই উপজাতির উপকথায় বর্ণিত আছে - একজন সৎ লোক বসবাস
করত তার নাম টামবাইনোত । তখন পৃথিবীতে অনেক মানুষ ছিল কিন্তু ন্যায় নিষ্ঠা বলতে কিছুই
ছিল না , পাপ কর্মে সব ভরে গিয়েছিল । এতে ঈশ্বর চাইলেন সব কিছু ধ্বংসকরে দিতে । কিন্তু
টামবাইনোত এর কাজে ঈশ্বর সন্তুষ্ট ছিলেন তাই তাকে একটা নৌকা বানাতে বললেন যাতে টামবাইনোত এর স্ত্রী ,সন্তান
ও নিদির্ষ্ট প্রজাতির প্রাণী বেঁচে যায় । ফলে ভয়ানক বন্যা হলো নৌকার সাহায্যে তারা
বেঁচে গেলো আর বাকীরা মারা গেল ।
ইউরোপরে গ্রীক উপকথায় বর্ণিত আছে - জিউস (গ্রীকদের দেবরাজ)
প্লাবন দিলেন এবং ব্রোঞ্জ যুগকে ধ্বংস করে দিল । প্রমিথিউস তার ছেলে ডিউকলিয়নেরকে
নৌকা তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন। উঁচু পাহাড়ে পালিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে বাদে অন্য সমস্ত
লোক মারা গেল । ডিউকলিয়ন এবং তাঁর স্ত্রী পাইরহা (এপিমিথিউস এবং পান্ডোরার মেয়ে)
নয় দিন এবং রাত্রে নৌকায় ভাসতে ভাসতে পের্নাসাসে নামলেন। যখন বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে
গেল, তখন তিনি জিউসের উদ্দেশ্যে বলিদান করলেন।
এশিয়ার আসামে (উত্তর-পূর্ব ভারত) উল্লেখ আছে - একটি বন্যা
একবার পুরো বিশ্বকে আবৃত ফেলেছিল এবং লেং পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় একটি গাছে উঠে
যাওয়া এক দম্পতি ছাড়া সবাইকে ডুবিয়ে দিয়েছিল। সকালে, তারা আবিষ্কার করে যে সেগুলি
বাঘ এবং বাঘিনী পরিণত হয়েছে। বিশ্বের করুণ অবস্থা দেখে প্যাথিয়ান (স্রষ্টা) পাহাড়ের
একটি গুহা থেকে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে প্রেরণ করলেন। কিন্তু তারা গুহা থেকে বেরিয়ে
আসতেই বাঘের দর্শন দেখে আতঙ্কিত হয়েছিল । তারা শক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা
করেছিল এবং পশুদের হত্যা করেছিল। এর পরে, তারা সুখে বসবাস করেছিল এবং বিশ্বকে নতুন
করে তৈরি করেছিল ।
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের
এলিয়ট মাউন্ট (উপকূলীয় কুইসল্যান্ড) অধিবাসীদের
কাছে বর্ণিত আছে - একটি বিশাল বন্যা বেশিরভাগ
মানুষকে ডুবে গেছে। কেপ ক্লিভল্যান্ডের উত্তর উপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত লম্বা পর্বত
বিবিবিরিংদার শীর্ষে কয়েকজন আশ্রয় নিয়ে বেঁচেছিল।
প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ এর
হাওয়াই অধিবাসীরদের কাছে বর্ণিত আছে - সমস্ত ভূমি
একসময় সমুদ্রের দ্বারা উপচে পড়েছিল, মাওনা কেয়ার পর্বত বাদে যেখানে দুটি মানুষ বেঁচে
ছিল । ঘটনাটি’কে বলা হয় “কই ক কাহনারি (কাহিনারি সমুদ্র)”। সেখানে কোন জাহাজ জড়িত
ছিল না ।
উত্তর আমেরিকার ইউরোক উপজাতি’র (উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া উপকূল )
কাছে লিপিবদ্ধ আছে - আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল এবং
তা পানিত আঘাত করেছিল, উচ্চ ভাঙ্গার ফলে সমস্ত জমি প্লাবিত হয়েছিল। কেউ খোলস কিংবা
বড় গাছের গুঁড়ি খুঁজে পেলো। পানি আসতে দেখলে দু'জন মহিলা এবং দু'জন পুরুষ নৌকায় উঠে
পড়ে এবং তারা কেবলমাত্র বেঁচে গেল । আকাশ-মালিক তাদের একটি গান দিয়েছেন এবং অনেক
দিন পরে তারা যখন এটি গায় তখন পানি শুকিয়ে পড়ল। আকাশের অধিপতি তাদের কাছে একটি রংধনু
প্রেরণ করেছিল এবং বলা হল আর কখনও সমস্ত পৃথিবীর প্লাবিত হবে না ।
মধ্য আমেরকিার মিকোআকান (Michoacan) , মেক্সিকো অধিবাসীদের
কাছে লিপিবদ্ধ আছে - যখন বন্যার জলের উত্থান শুরু হয়েছিল, তেজপি নামে এক ব্যক্তি তার
স্ত্রী, শিশু এবং বিভিন্ন বীজ এবং প্রাণীকে সঙ্গে নিয়ে একটি বড় জাহাজে প্রবেশ করলেন। যখন জল বন্ধ হয়ে গেল, লোকটি শকুন প্রেরণ করল, কিন্তু
পাখিটি প্রচুর পরিমাণে লাশ খেতে পেয়েছিল এবং ফিরে আসে নি। অন্যান্য পাখিও পালিয়ে
গেল এবং ফিরে আসেনি। অবশেষে, তিনি একটি হামিংবার্ড প্রেরণ করলেন, যা এর চঞ্চুতে সবুজ
রঙের ঝাঁকুনি নিয়ে ফিরে এসেছিল।
দক্ষিন আমেরকিার আরাওয়াক
আদিবাসী (গায়না) -
মানব সৃষ্টির পর থেকে পৃথিবী দু'বার, একবার আগুনে এবং একবার বন্যার দ্বারা ধ্বংস
হয়ে গেছে, মানবজাতির দুষ্টতার কারণে মহান সৃষ্টিকর্তা আইওমুন কান্দি। ধর্মপ্রাণ ও
জ্ঞানী প্রধান মারেয়েরওয়ানাকে বন্যার আগমনের কথা জানানো হয়েছিল এবং তিনি নিজেকে
এবং তাঁর পরিবারকে একটি বড় ডিঙ্গি নৌকাতে বাঁচালেন। তিনি তার ডিঙ্গি নৌকাতে বাঁচানোর
জন্য একটি দীর্ঘ লতানো-দড়ি তারের সাহায্যে একটি গাছের বেঁধেছিলেন।
উপরের সবগুলো ঘটনাতে কেবল
কয়েকজন মানুষের কথা আর সাথে সাথে প্লাবন এর কাহিনী উল্লেখ আছে । বিষয় গুলো উপলব্ধি
করতে হলে কিছু বিষয়ে এর প্রতি সঠিক ইঙ্গিত থাকা চাই ।
প্রথমত - নূহ (আঃ) বসবাস করতেন মধ্যপ্রাচ্যে যা
বর্তমানে ইরাকে এর আশেপাশে । এটাও সর্ব স্বীকৃত যে , আদিম সভ্যতার একমাত্র উৎস স্থল
হচ্ছে মিশর , ইরাক এর আশেপাশে । এ কথা পাশ্চাত্য প্রত্নতাত্ত্বিকগণের দ্বারা সর্ব স্বীকৃত
। অথবা যে কেউ বিসিএস এর জন্য পড়াশোনা করলে তারা এর ইতিহাস ভাল করে জানে । তার অর্থ
তখনকার যুগে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ কেবল সেই স্থানে বসবাস করত । আর যেহেতু মহান আল্লাহ্
অবাধ্যতার কারনে কিছু সংখ্যক ঈমানদার ছাড়া সবাইকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন তার অর্থ হলো
জীবিত ঈমানদারদের লোকদের সন্তান ও তাদের পরবর্তী নারী-পুরুষ এই পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল
, আর এ ঘটনাক্রমে তাদের কাছে তাদের পূর্বপুরুষের কাহিনী
বিকৃত ভাবে মূল ভাব বর্ণনা আছে ।
দ্বিতীয়ত- পবিত্র কুরআনে পৃথিবীকে আরবীতে ٱلْأَرْضَ বলে । যার অর্থ যমীন বা
পৃথিবী । যেমন মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন - বল, পৃথিবী পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ
সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণাম কী দাঁড়িয়েছিল (৬:১১)। আরো এরকম বহু উদাহরন আছে -
(২:১১), (২:১০৭), (৩:১৮৯), (৫:৩৬), (৫:৯৭), (৭:১০), (৭:৯৬), (১০:৮৩) ইত্যাদি । কিন্তু
পবিত্র কুরআনে যখন কাওমের ধ্বংসের কথা বলেছেন তখন সে স্থানে ٱلْأَرْضَ বা পৃথিবীর বলেন নাই বলেন
নাই বলেছেন ٱلتَّنُّورُ যার অর্থ চুলা , পবিত্র কুরআনে এ শব্দটি
দুই আয়াতে মাত্র দু’বার আছে [ (১১:৪০) ,(২৩:২৭)] , আর এখানে বলা আছে চুলা থেকে পানি
উঠতে আরম্ভ করল এবং মহান আল্লাহ্ নূহ (আঃ) কে আদেশ দিল প্রত্যেক জোড়া প্রাণী ও ঈমানদারদের
নৌকায় তুলতে । এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি নূহ (আঃ) এর কাওম ছিল একটা নির্দিষ্ট স্থানে
যার ফলে মহান আল্লাহ্ চুলার কথা উল্লেখ করেছেন ।
তৃতীয়ত- মহান আল্লাহ্ আবার বলছে আমি ٱلْأَرْضَ বা জমিন থেকে পানি প্রবাহ
করলাম অতপর সব পানি মিলিত হলো (৫৪:১২)। আবার মহান আল্লাহ্ বলেন - হে পৃথিবীর পানি গিলে
ফেল , হে আকাশ ক্ষান্ত হও (১১:৪৪) । আবার নূহ নবী মহান আল্লাহ্ এর কাছে বদদোয় করে বলেন
- আপনি পৃথিবীর কোন কাফের কে রেহাই দিবেন না (৭১:২৬)। উপরের আয়াত গুলোর অর্থ হলো সমগ্র
পৃথিবীর মহান আল্লাহ’র তাই তিনি পৃথিবীর নাম নিয়েছেন আবার মানুষ অন্য সকল প্রাণী থেকে
সর্বশ্রেষ্ঠ । মানুষ জাতি যেখানে বসবাস করুক না কেন সে পৃথিবীর সব কিছুকে প্রত্যক্ষ
করতে সক্ষম কারণ মহান আল্লাহ্ মানুষ কে সে ক্ষমতা দিয়েছেন । প্লাবনে কাওমকে ডুবিয়ে
মারবে এবং এ বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য জোড়া প্রাণী ও মানুষকে নেীকায় আহরোন এর কথা মাত্র
দুটি আয়াতে উল্লেখ আছে (১১:৪০) ,(২৩:২৭) এর বিষয়ে দ্বিতীয় পয়েন্টে আলোচনা করেছি সেখানে
মহান আল্লাহ্ পানির উৎস হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনা না দিয়ে বলেছেন শুধু মাত্র চুলা থেকে
পানি উঠতে শুরু করেছে তা অর্থ নির্দিষ্ট জনপদ অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ শুধু ঐ স্থানে
বসবাস করত তাহলে শুধু ঐ অঞ্চলের প্রানীদের রক্ষা করলেই যথেষ্ট অন্য জনপদের প্রাণীদের
নৌকায় আহরনের চিন্তা আসে না ।
যখন প্লাবন আরম্ভ হলো
- ‘নূহ তাঁদের বলল, তোমরা এতে (নৌকায়) আরোহণ কর। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই
আমার প্রভু অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান’
(১১:৪১) ।
‘জূদী’পাহাড়ে
গিয়ে নৌকা নোঙর করে (হূদ ১১/৪৪)। এ পাহাড়টি
আজও ঐ নামেই পরিচিত। এটি নূহ (আঃ)-এর মূল আবাস ভূমি ইরাকের মসুল নগরীর উত্তরে
‘ইবনে ওমর’ দ্বীপের অদূরে আর্মেনিয়া সীমান্তে অবস্থিত।
এটি একটি পবর্তমালার অংশ বিশেষের
নাম। এর অপর এক অংশের নাম ‘আরারাত’
পর্বত।
১৯৫৯ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ের ওপরে হুবহু জাহাজ আকৃতির একটি জায়গার
সন্ধান পান তুর্কি ক্যাপ্টেন ইলহান দুরুপিনার নামে এক মানচিত্রকর। বিশ্বাসীরা দাবি
করে সেটিই নূহ নবীর নৌকার ধ্বংসাবশেষ। পরে মার্কিন বিশেষজ্ঞ রাডার স্ক্যান এর মাধ্যমে
নিশ্চিত হয় এ স্থানটি কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন নয় বরং মানুষের তৈরী একটি নৌকার ধ্বংস
অবশেষ । সেখান থেকে একটি কাঠ পাওয়া গেলে তাত আবার লোহা ছিল যার অর্থ এটি পেরক যা তখনকার
যুগে নৌকাতে ব্যবহৃত হয়েছিল ।
বলা হয় নৌকাটি লম্বায়
ছিল প্রায় ৫১৫ ফুট এবং চওড়া ৮৫.৮৩ ফুট । বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা নিশ্চিত না যে, এটি নূহ
(আঃ) এর নৌকা কি না ? তবে আমরা ৯৯.৯৯% নিশ্চিত এটাই সেই নূহ নবীর নৌকা ।
হে আমাদের
পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো
না (২:২৮৬) ।
(অতি
সংক্ষিপ্ত)
মোহাম্মদ মুদ্দাচ্ছির ইসলাম পাটওয়ারী
Comments
Post a Comment
মন্তব্যঃ