Posts

Showing posts from May, 2018

মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির মধ্যে অন্তরায় ।

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির মধ্যে অন্তরায় । ( পবিত্র কুরআন এর সাক্ষ্য ?) । মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন , তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন , উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না (সূরা আর রহমান ৫৫:১৯-২০)। আবার অন্য আয়াতে বলেন , দুই সমুদ্রের মাঝখানে অন্তরায় রেখেছেন (২৭:৬১)। প্রাথমিক যুগের তাফসীরকারকরা পানির দু ’ টো ধারার দু ’ টো বিপরীতমুখী অর্থের ব্যাখ্যা করতে পারে নাই কারন এটা কি ভাবে সম্ভব যে ,   তারা মিশে একাকার হয়ে যায়,অথচ উভয়ের মধ্যে রয়েছে আড়াল ! আবার রাসূল সাঃ বসবাস করতেন মরুভূমিতে যেখানে না ছিল কোন নদীর প্রবাহ । আবার উনার বাসস্থান মক্কা থেকে লোহিত সাগর ছিল ৭৫ কি.মি দূরে । যেখানে লোহিত সাগরের সাথে আর কোন অন্য সাগরের সংযোগ নেই । তাই প্রথম দিকে এ আয়াতের তাফসীর অনেকটাই অজ্ঞাত ছিল । মহান আল্লাহ্ বলছেন তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন , উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না (সূরা আর রহমান ৫৫:১৯-২০)।   এ আয়াত কে বিবেচনা করলে দেখতে পাই , মক্কা বা মদীনার পাশে কেব

পৃথিবীর ভর এবং তার মহাকর্ষ/অভিকর্ষ বল।

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  পৃথিবীর ভর এবং তার মহাকর্ষ/অভিকর্ষ বল। ( পবিত্র কুরআন কি বলে ?) । মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন , خَلَقَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন (লোকমান ৩১:১০)। আবার অন্য আয়াতে বলেন , اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا  আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ (রা’দ ১৩:০২)। মহাকাশের তারাগুলো খুঁটি ছাড়াই অবস্থান করছে । তার মানে মহান আল্লাহ্ বুঝাতে চেয়েছেন যে, আকাশমন্ডলীর বিভিন্ন বস্তু সমূহ কোন পিলার বা স্তম্ভ নেই কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে তারা ঘুরপাক খাচ্ছে ! মহাকাশের আমাদের সোলার সিস্টেম । যার মধ্যে শূন্যস্থানে বিভিন্ন গ্রহ ঘুরছে অথছ তাদের মধ্যে কোন পিলার নেই । তাহলে তাদের মধ্যে কোন শক্তি কাজ করছে যার ফলে তারা শূন্যের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ? পবিত্র কুরআন বুঝতে হলে অনেক ক্ষেত্রে অনুধাবনের প্রযোজন হয় । আসুন একটু বুঝার চেষ্টা করি । মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকনা এ

মৌমাছির যোগাযোগের মাধ্যম ও গতিপথ ।

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  মৌমাছির যোগাযোগের মাধ্যম ও গতিপথ ( পবিত্র কুরআন কি বলে ?) । একটি কবিতা আমরা প্রায় সবাই জানি , আর তা হলো “কাজের লোক” “ মৌমাছি , মৌমাছি , কোথা যাও নাচি ' নাচি ' দাঁড়াও না একবার ভাই । '' “ ওই ফুল ফোটে বনে , যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই । আসলে মৌমাছি খুবই ব্যস্ত থাকে । মৌমাছি আসলে কেমন এ নিয়ে বিংশ শতাব্দীর আগে তাদের জীবন চক্র নিয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারনা ছিল না । স্বাভাবিক নিয়মে প্রথম দিকের বিজ্ঞানীরা মনে করত মৌমাছি দুই ধরনের একটি হলো পুরুষ যার কাজ হচ্ছে মৌচাক বানানো ,মধু সংগ্রহ আর বাচ্চা দেখাশোনা ইত্যাদি । আর অন্যটি হলো স্ত্রী যার কাজ হলো শুধু সন্তান উৎপাদন ও লালন পালন । যেমন শেক্সপিয়ার ১৫৯৭ সালে একটি নাটক লিখেছিলেন যার নাম “Henry The Fourth” তিনি তাতে লিখেন পুরুষ মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে এবং তাদের একজন রাজা থাকে। দিনশেষে সব সৈনিক মৌমাছিদের এই 'রাজা' মৌমাছির কাছে এসে কৈফিয়ত দিতে হত কি কি কাজ তারা পুরোদিনে করেছে। তার মানে কর্মী মৌমাছিদের তখনকার সবাই পুরুষ ভাবত । কিন্তু ১