Posts

Showing posts from April, 2018

প্রাণীর মধ্যে সামাজিকতা !

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  প্রাণীর মধ্যে সামাজিকতা ( পবিত্র কুরআন এর সাক্ষ্য ?) । প্রথমেই বলে রাখি নবী মুহাম্মদ সাঃ বাস করতেন আরবের মরুভূমিতে । আর সেখানে ছিল শুধু মরুভূমি ফলে সেখানে না ছিল কোন সমৃদ্ধ প্রাণী বৈচিত্র না পাখির আবাস । কিন্তু তা সত্বেও মহান আল্লাহ্ প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে নবী মুহাম্মদ সাঃ কে জানিয়ে দিয়েছিলেন । বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার যেমন উন্নত ক্যামেরা , জিপিএস প্রযুক্তি , প্রাণী ট্র্যাকিং সিস্টেম ইত্যাদির কারণে প্রাণী বিজ্ঞানের জ্ঞান আরো উন্নত হয়েছে । এতে আরো নতুন নতুন গবেষনার মাধ্যমে প্রাণীদের গভীর বৈচিত্র জানা সম্ভব হয়েছে । তার ফলে আবিষ্কৃত হয়েছে যে , মানুষের মতো দলবদ্ধ সামাজিক জীবনযাপন প্রাণীর মধ্যেই দেখা যায়। এই সামাজিকতা ক্ষুদ্র প্রাণী পিঁপড়া থেকে শুরু করে জলজ , স্থলজ , আকাশের প্রাণীদের মধ্যেও বিদ্যমান। এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ্ বলেন ; আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু ’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণী। আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িন

পূর্বে মহাকাশের অবস্থা কেমন ছিল ?

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  পূর্বে মহাকাশের অবস্থা কেমন  ছিল ( পবিত্র কুরআন কি বলে ?) । যদি প্রশ্ন করা হয় যে মহাবিশ্বের বয়স কত ?  তাহলে অনেকটা আজগুবী বলে মনে হবে মনে হবে তাই না ! কারন তখন তো কেই ছিল না তাহলে কিভাবে তা পরিমাপ করা সম্ভব ?  মহাবিশ্বের বয়সের ব্যাপারে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য তথ্য হচ্ছে ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বছর বা প্রায় ১৪০০ কোটি বছর। কিন্তু কিভাবে মাপা হল এই বয়স ?  যদি একেবারে সাধারন ভাবে ব্যাখ্যা দেই তাহলে বিজ্ঞানী হাবলের বিশ্লেষণ মতে ;   ছায়াপথ সমূহে (Galaxy) সমূহ একে অপর থেকে সমহারে দূরে সরে যাচ্ছে তাহলে আমরা বলতেই পারি অতীতের কোন এক সময় এরা সবাই যুক্ত ছিল। বর্তমানে গ্যালাক্সিদের বেগ, পারস্পরিক দূরত্ব ও এর সাথে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণেকে কাজে লাগিয়ে আমরা বলতে পারি তারা কত সময় পূর্বে একত্রে ছিল বা সৃষ্টির আদি উৎস। আর এই সময়টাই হচ্ছে মহাবিশ্বের বয়স । আর এভাবে উত্তরটা পাওয়া গেছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর   বিস্তারিত পরে আসছি  । মহাবিশ্বের যে ছায়াপথে বসবাস করি তার নাম মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ । এরকরম ছায়াপথ সমূহের (Galaxy) সংখ্যা প্রায়

ভূপৃষ্ঠের উপরে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন বা বাতাসের ঘনত্ব ।

Image
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  ভূপৃষ্ঠের উপরে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন বা বাতাসের ঘনত্ব ( পবিত্র কুরআন কি সাক্ষ্য দেয় ? ) চিত্র ঃ০১ র্পথিবীতে  বাঁচতে হলে অবশ্যই অক্সিজেন লাগবে এটি ছাড়া প্রাণী জগৎ বেঁচে থাকা একেবারে অসম্ভব । ধরা হয় ,  বায়ুমন্ডলের ভর হচ্ছে প্রায় ৫ × ১০ ১৮ কেজি,যার তিন চতুর্থাংশ পৃষ্ঠের প্রায় ১১ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে। বায়ুমন্ডলীয় গ্যাসসমূহের মধ্যে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন,২০.৯৫% অক্সিজেন থাকে । বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব ও উপাদানের ভিত্তিতে পৃথিবীর চতুর্দিকের বায়ুমণ্ডলকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা যায়, যেমন- (১) ট্রোপোস্ফিয়ার,    (২) স্ট্রাটোস্ফিয়ার,    (৩) আয়নোস্ফিয়ার    (৪) এক্সোস্ফিয়ার  এবং    (৫) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ।   (১) ট্রোপোস্ফিয়ার [Troposphere] বা ঘনমণ্ডল : ভূপৃষ্ঠ থেকে মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিমি ও,নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৮ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অবস্থিত বায়ুস্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে । বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৭৫% গ্যাসীয় পদার্থ এই স্তরে থাকায় এখানে বায়ুরচাপ সবচেয়ে বেশি এর ফলে এ স্তরে ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, তুষারপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘট